অপারেশন সিঁদুরের পর পদোন্নতি, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হলেন নীরজ চোপড়া


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্যারিস অলিম্পিকে রুপো জেতার পর পদোন্নতি হল নীরজ চোপড়ার। এতদিন টেরিটোরিয়াল আর্মির সাব মেজর পদে ছিলেন ভারতের সোনার ছেলে। গত মাসেই নীরজকে উন্নীত করা হয় লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে বুধবার।

২০১৬ সালের ২৬ আগস্ট জুনিয়র কমিশনড অফিসার হিসাবে নায়েব সুবেদার পদে টেরিটরিয়াল আর্মিতে যোগ দেন নীরজ। সেখান থেকে বেশ কয়েকবার পদোন্নতি হয় জ্যাভলিন থ্রোয়ারের। এবছর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হলেন নীরজ। সামরিক দপ্তরের যুগ্ম সচিবের বিবৃতিতে বিষয়টি জানা গিয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল থেকেই লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হয়েছেন নীরজ।

কী এই টেরিটোরিয়াল আর্মি?
টেরিটোরিয়াল আর্মি হল স্বেচ্ছাসেবক, স্বেচ্ছাঅবসর নেওয়া সেনা আধিকারিকদের একটি সহায়ক সামরিক সংস্থা। যা প্রয়োজনে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সহায়তা পরিষেবা প্রদান করে। এটি অফিসার, জুনিয়র কমিশনড অফিসার, নন-কমিশনড অফিসার এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মতো পদধারী অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে গঠিত, তাঁদের মধ্যে বেসামরিক পেশার ব্যক্তিরাও রয়েছেন। দেশের বহু সফল ক্রীড়াবিদদের সামরিক সম্মান দেওয়া হয়। এই তালিকায় রয়েছেন-কপিল দেব, শচীন তেন্ডুলকর, মহেন্দ্র সিং ধোনি, অভিনব বিন্দ্রা, রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌররা।

রাশিয়া, চিনের মতো দেশগুলিতে বিশেষ নিয়ম রয়েছে। যার মাধ্যমে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকদের তাঁদের ইচ্ছার বিরোধী যুদ্ধে পাঠাতে পারে। কিন্তু ভারতে এমন কোনও নিয়ম নেই। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে সেনার ‘রিজার্ভ ফোর্স’ হিসেবে কাজ করে এই টেরিটোরিয়াল আর্মি। অর্থাৎ শচীন বা ধোনিরা সেনার তলব পেলেও তাঁদের শুধু রসদ পৌঁছে দেওয়ার কাজটাই করতে হবে। একমাত্র অভাবনীয় কোনও পরিস্থিতি তৈরি হলে তবেই অস্ত্র ধরার প্রয়োজন পড়বে। যদিও যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁদের ডাক পড়ার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য। কারণ অতি সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি না হলে সাম্মানিক পদাধিকারীদের যুদ্ধে ডাকা হয় না।

Leave a Reply