সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপার কাপে কেরালা ব্লাস্টার্স ম্যাচ আপাতত অতীত। সেমিফাইনালে মোহনবাগানের সামনে শক্তিশালী এফসি গোয়া। মানোলো মার্কুয়েজরা আইএসএলের সেমিফাইনাল হারলেও এবার সাহাল আবদুল সামাদদের সামনে পরিস্থিতি একেবারে অন্যরকম। প্রতিপক্ষের হাতে আর্মান্দো সাদিকু ছাড়া প্রায় পুরো দলই রয়েছে। সেখানে মোহনবাগান এই প্রতিযোগিতা খেলতে এসেছে একঝাঁক তরুণ ফুটবলারকে নিয়ে। সুপার কাপের সেমিতে কোথায় এগিয়ে মোহনবাগান? দুর্বলতাই বা কোথায়?
আইএসএলের প্রথম একাদশে খেলা অধিকাংশ ফুটবলারকে ছুটি দিয়েছে মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। এই প্রতিযোগিতাকে নতুনদের সামনে নিজেদের মেলে ধরার মঞ্চ হিসাবেই দেখছে তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে কেরালাকে হারিয়ে সেমিফাইনালের আগে রীতিমতো চনমনে সবুজ-মেরুন শিবির। আশিক-সাহালদের নিয়ে তো প্রত্যাশা ছিলই। কিন্তু তরুণ সালাউদ্দিন, আদনানরা এভাবে চমকে দেবেন, তা বোধহয় সেভাবে কেউ ভাবতে পারেননি।
কেরালার বিরুদ্ধে রীতিমতো দাপট দেখিয়েছে তরুণ ব্রিগেড। গোলের মধ্যে আছেন সুহেল ভাট, মাঝমাঠ দখলে রাখছেন টাংরিরা। সঙ্গে রয়েছে কোচ বাস্তব রায়ের মগজাস্ত্র। তিনি বারবার ফুটবলারদের বলেছেন, চাপমুক্ত হয়ে খেলতে। সেমিফাইনাল বা ফাইনাল নয়, একটা একটা ম্যাচ করে দেখছেন সুপার কাপকে। আসলে তিনিও জানেন, একঝাঁক তরুণ নিয়ে খেলার সমস্যা কোথায়? ভোগাতে পারে সুপার কাপ সেমিফাইনালের মতো বড় মঞ্চে খেলার অনভিজ্ঞতা। তাছাড়া নুনো ও দীপেন্দুর ডিফেন্সে ফাঁকফোকর চোখে পড়েছে। ম্যাচের শেষদিকে গোলও হজম করতে হয়েছে।
আর সেখানে আগুনে ফর্মে আছেন গোয়ার বোরহা হেরেরা, ইকের গুরোচেনা। গোকুলামের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ইকের। অন্যদিকে কোয়ার্টার ফাইনালে পাঞ্জাব এফসি’র বিরুদ্ধে জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন বোরহা। গোয়ার পূর্ণশক্তির দলের বিরুদ্ধে কিন্তু কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে আছে মোহনবাগানের জন্য। তাছাড়া ডাগ আউটে কোচ মানোলো মার্কুয়েজের উপস্থিতিও পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায়ও বলেছেন, কেরালার থেকে শক্তিশালী দল গোয়া। যদিও অতিরিক্ত পজিশন নির্ভর ফুটবলের ফলে প্রায়ই খেলার গতি কমিয়ে ফেলে গোয়া। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইবে সবুজ-মেরুনের তরুণ তুর্কিরা। এর সঙ্গে সন্দেশ-ওডেইদের ‘স্লো’ রক্ষণের বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে পারে সাহাল-আশিক-সুহেলদের গতিময় ফুটবল।