ওয়াশিংটন বড়ই সুন্দর। না, ওয়াশিংটন ডিসির কথা হচ্ছে না। আমাদের কাছেও তো ওয়াশিংটন রয়েছে। জাতীয় দলের অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর। কেরিয়ার শুরু হয়েছিল অনেক আগে। জাতীয় দলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাক হিসেবেই থাকতে হয়েছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে। অফস্পিনার অলরাউন্ডার প্রয়োজন হলে এখন কিন্তু প্রথম চয়েস ওয়াশিংটন সুন্দরই। আর ওয়াশিংটনের চয়েস?
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল রাইজিং পুনে সুপার জায়ান্টস দিয়ে। এরপর চার মরসুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। গত তিন মরসুম খেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। এ বার তাঁকে নিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। আরসিবিতে একটা মরসুম বাদ দিলে নিয়মিত সুযোগ মেলে না। টাইটান্সের হয়েও এ মরসুমে খেলেছেন মাত্র চার ম্যাচ। তিন ইনিংস ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। করেছেন ৬৪ রান। আর বোলিংয়ে ২ উইকেট। তবে তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ারে সাফল্য আইপিএল দিয়ে বিচার করা কঠিন। অনেকেই এমন থাকেন, যাঁরা ছোট ছোট অবদান রাখেন। যা মূলত সেই অর্থে প্রচারের আলোয় আসে না। যাই হোক, কথা হচ্ছিল ওয়াশিংটনের চয়েস নিয়ে।
যতক্ষণ না কেউ নিজে মুখে স্বীকার করছেন বা ঘোষণা করছেন, ততক্ষণ কিছু জিনিস জল্পনা হিসেবেই পরিচিত হয়। পরবর্তীতে দেখা যায়, সেই জল্পনাই আসলে সত্যি ছিল। বর্ষিণী সৌন্দরাজনের ক্ষেত্রেও কি এমনই হবে? মিডিয়া রিপোর্টস, নানা অনুমান, অঙ্ক থেকে উঠে এসেছে, ওয়াশিংটন সুন্দর ডেট করছেন হায়দরাবাদের বর্ষিণীর সঙ্গে। তেলেগু ফিল্ম ইন্ড্রাসিতে জনপ্রিয় মুখ। তার আরও একটা পরিচিতি রয়েছে। ক্রিকেট লাভার। তা হলে ক্রিকেটারের গার্লফ্রেন্ড হতে পারেন না কেন?
গত মরসুমগুলিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলেছেন সুন্দর। আর হায়দরাবাদের হোম গ্রাউন্ডে বেশির ভাগ ম্যাচেই দেখা গিয়েছে বর্ষিণীকে। সময়ের যত সঙ্কুলান হোক, গ্যালারিতে থেকে দলকে তাতিয়েছেন। হোম টিমকে সাপোর্ট করবেন, এটাই স্বাভাবিক। শুধুই কি হায়দরাবাদকে সাপোর্ট করতেই যেতেন। এ বার বলতেই পারেন, যেতেন কেন বলা হচ্ছে? এখন কি আর যান না? অবশ্যই যান, কিন্তু আগের মতো ধারাবাহিক নয়। সেই থেকে অঙ্কটা জোরালো হয়েছে। শুধু হায়দরাবাদ নয়, ওয়াশিংটনের টানেই যেন গ্যালারিতে হাজির থাকতেন বর্ষিণী।
নানা সময়েই তাঁদের নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে পরস্পরকে ফলো করেন। কিন্তু একসঙ্গে পোস্ট! নৈব নৈব চ। দু-জনেই হয়তো নিজের নিজের পেশায় একটা স্টেবিলিটি খুঁজছেন। আর সেটা হলেই প্রকাশ্যে আসবে তাদের সম্পর্কের কথা। দু-জনেই যথেষ্ট শিক্ষিত এবং ট্র্যাডিশনাল পরিবারের। তাই খুল্লমখুল্লা প্রেমের ইজহার এখনই হয়তো নয়। টেস্ট ম্যাচে যেমন সময় নিয়ে ইনিংস বিল্ডআপ করতে হয়, সুন্দর এবং বর্ষিণীও যেন সময় নিচ্ছেন।
তা হলে প্রশ্ন জাগতেই পারে, হঠাৎ এই নামটা নিয়েই এত আলোচনা কেন। তা হলে তো সেই পরিচিত প্রবাদ ব্য়বহার করতে হয়, যা রটে তার কিছু তো ঘটে। মিডিয়া রিপোর্টস কি কোনওরকম ইঙ্গিত ছাড়া এমনি এমনিই দু-জনের নাম জুড়ে দেবেন! তা নিশ্চয়ই নয়। কিন্তু যতক্ষণ না ঘোড়ার মুখ থেকে খবর আসছে, ততদিন না হয় জল্পনাই ধরে নিন।