সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াইয়ে ভেসে রইল নাইট রাইডার্স। যার নেপথ্যে নারিন-অস্ত্র। ব্যাটে-বলে অনবদ্য ক্যারিবিয়ান তারকা। ও, মাঝে নেতৃত্বও দিলেন তিনি। কিন্তু ম্যাচ শেষে কোনও ‘আমিত্ব’ নেই নারিনের মুখে। বরং রেকর্ড গড়ার ম্যাচে কৃতিত্ব দিলেন দলের সকলকেই।
আইপিএলে ১০টি ম্যাচ খেলে ফেলেছে নাইটরা। অবশেষে বোধহয় ওপেনিং জুটি ‘ক্লিক’ করল। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১২ বলে করেন ২৬ রান। অন্যদিকে ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে যান নারিন। আর শুধু ব্যাটে নয়, জ্বলে উঠলেন বল হাতেও। ফাফ ডু’প্লেসিসের হাত ধরে যখন দিল্লি লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, তখন ফের নারিন প্রমাণ করলেন, কেন এখনও তিনি আইপিএলের অন্যতম সেরা ‘ম্যাচ উইনার’। আর শুধু ডু’প্লেসিসের উইকেট নয়, ২৯ রান দিয়ে তুলে নিলেন মোট ৯ উইকেট।
যার সাহায্যে নতুন রেকর্ডও গড়লেন নারিন। কেকেআরের হয়ে ১৯৫ ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা ২০৮। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে একটি দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের কৃতিত্ব এখন তাঁর নামে। সেটা কিন্তু শুধু আইপিএল নয়, গোটা বিশ্বের সব টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মিলিয়ে। তবে ম্যাচের পর তিনি বললেন, “এটা দলগত সাফল্য। যেভাবে গুরবাজ শুরু করেছে। তারপর অঙ্কি (রঘুবংশী) ও রিঙ্কু খেলেছে। আমি শুধু দলের প্রয়োজনে পারফর্ম করেছি। সবকটা উইকেটই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সব সময় চাই দলের অধিনায়ককে এভাবে সাহায্য করতে।”
ঘটনাচক্রে এদিন নেতৃত্বের দায়িত্বও তাঁর কাঁধে ছিল। ১২তম ওভারে আঙুলে চোট লেগে মাঠের বাইরে চলে যান অজিঙ্ক রাহানে। হিসেব মতো সহ-অধিনায়ক ভেঙ্কটেশ আইয়ারের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা। কিন্তু বৈভব অরোরাকে খেলানোর জন্য ভেঙ্কটেশকে ‘ইমপ্যাক্ট সাব’ করা হয়। যে কারণে নেতৃত্বও দেন নারিন। ম্যাচের পর রাহানেও বলে গেলেন, , “নারিন টিমের ম্যাচ উইনার। অধিনায়ক হিসেবে ওকে টিমে পাওয়ার ভাগ্যের ব্যাপার।” প্লে অফের লড়াইয়েও এখন কিছুটা ভাগ্যের সাহায্য লাগবে কেকেআরের।